নিজের মনের অগোছালো ভাবনা থেকে লিখছিঃ
একটা সময় র্যাপিড একশন ব্যাটেলিয়িন বা র্যাব এসে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করেছিল। কালক্রমে র্যাব এখন পুলিশের মতই ঝিমিয়ে পড়া নিরাপত্তা বাহিনী হয়ে গেছে, ক্রমাগত ক্ষমতাসীন দলের নিজস্ব মিলিশিয়ায় পরিণত করা হয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ আর র্যাব এর মত এলিট ফোর্সকে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা দিতে গিয়ে এই দুই শৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনী হয়রাণ।
তাই তকি, তনুরা মারা পরে অনিরাপত্তা আর অসামাজিকতারর অজুহাতে, এদের হত্যার বিচার ভাল মতে দেয়া হয় না। সাগর-রুনীর হত্যাকারিরা বছরের পর বছর পর্দার আড়ালে থেকে যায়। জুলহাসদের ইসলামি জঙ্গী সংগঠনের ব্যানারে মারা হয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে মরে যেতে হয় ভোঁতা দাওয়ের কোপ খেয়ে। ব্লগারদের হত্যা করা যেন ডালভাত। এতক্ষণ যাদের খুনের কথা বললাম এরা সবাই সাধারণ মানুষ।
এবার অসাধারণ মানুষদের কথা বলি। যেমন আমাদের প্রধান্ মন্ত্রি পুত্র সজীব ওয়াজেদ। তিনি বাংলাদেশে থাকেন না, কিন্তু তিনি এগ্রিভড হয়ার আগেই উনার খুনের ষড়যন্ত্রিদের ধরে ফেলা হয়। নিজের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবতে হয়না তাকে। বসুন্ধরা গ্রুপের মালিক আহমেদ আকবর সোবহান আমাদের প্রধানমন্ত্রীর পুত্রের মত পলিটিকাল ভি আই পি নন। কিন্তু তার আছে বিত্ত, তিনি নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন তার পারসোনাল আরমার্ড বডি গার্ড দিয়ে। নিরাপত্তাকে সাধারণ মানুষের জন্য আকাংক্ষিত বা দুর্লভ পণ্য বানানো হচ্ছে। সেইদিন আর বেশি দূরে নেই, বাংলাদেশের এলিটরা নিজেদের নিরাপত্তার জন্য পারসোনাল ফোর্স ভাড়া করবেন বা নিজেরাই ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বাহিনী পালবেন। নিরাপত্তার নামে এমেরিকা থেকে অস্ত্র আমদানি বাড়িয়ে দেয়া হবে।The Era of 'keeping personal armored guard for safety' is upon us. You have money-buy your safety, otherwise U R not safe. #Bangladesh— FaysaL Bin DaruL (@FaysaLBinDaruL) April 29, 2016
তাই এখন আর বাঘের মত একা একা চলি না। ভেড়ার পালের মত দলবেঁধে চলি। আমাদের নিরাপত্তা নিয়ে আমাদের মাথা ব্যাথা হয়। আমার দেয়া ট্যাক্সের টাকায় চালানো রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর কাছ থেকে নিরাপত্তা আশা করার সময়, মাঝে মাঝে মনে হয়, আমার ট্যাক্সের টাকা গুলি বৃথা যাচ্ছে। কিন্তু আমার যে নিজের গার্ড পোষার মত সামর্থ্য নেই , আমি একজন সাধারণ মানুষ। আমি 'নিরাপত্তা' নামের পণ্য কিভাবে কিনবো ? 29.04.2016
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন