বুধবার, ৩০ মার্চ, ২০১৬

Aperture | ISO | Sutter Speed : The Exposure Triangle

Aperture | ISO | Sutter Speed : The Exposure Triangle

মাঝে মাঝে ঘোরাঘুরির পাশাপাশি ফটোগ্রাফীও আমার শখের তালিকায় আছে। আমি এখনো শৈখিন চিত্র গ্রাহক। মোবাইল ফোনের ক্যামেরা দিয়ে শখ মিটিয়ে যাচ্ছি। ছবি তোলার সময় ছবির বিষয় নির্বাচনের পাশাপাশি আরো তিনটি গুরুত্বপূর্ণ টেকনিকাল বিষয় নিয়ে জেনেছি এবং সবার সাথে সংক্ষেপে শেয়ার করতে চাচ্ছি। পেশাদার চিত্রগ্রাহকরা এই বিষয় তিনটি সম্পর্কে আগে থেকেই জেনে থাকবেন, কিন্তু আমার মত শৌখিন আনাড়ি ফটোগ্রাফারের জন্য খুব দরকারী। 

বিষয় তিনটি হলোঃ Aperture, ISO এবং  Sutter Speed. এই তিনটি বিষয়কে একত্রে ফটোগ্রাফির 'তিন স্তম্ভ' কিংবা Exposure Triangle  বলা হয়। একটি ভাল ফটোর গুণ অনেকাংশেই এই তিনটি বিষয়ের উপর নির্ভরশীল। 

Aperture: 
মূলত ক্যামেরার লেন্স আর মূল অংশের মাঝের ফাঁকা অংশ যার মধ্যে দিয়ে আলো ক্যামেরার মূল অংশে প্রবেশ করে। এর কাজ মূলত আমাদের চোখের আইরিশের মত। Aperture এর হ্রাস বৃদ্ধির উপর একটি ছবির ব্যাকগ্রাউন্ডের সচ্ছতা নির্ভর করে। Aperture যত কম হবে, ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড হবে তত স্বচ্ছ, অর্থ্যাত বেশী Aperture, অস্বচ্ছ(Blur) ব্যাকগ্রাউন্ড। 

ISO(আলোক সংবেদক):
ডিজিটাল ক্যামেরার আলোক সংবেদনশীলতার ধারক/গ্রাহক। একটি ভাল ছবি তোলার জন্য ক্যামেরার সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ এবং মুল্যবান ফিচার এই ISO একটি ছবিতে আলোর পরিমান নির্ধারণ করে দেয়। ক্যামেরার ISO যত কম হবে, আলোর প্রতি সংবেদনশীলতা তত কম হবে। অল্প আলোতে ছবি তোলার ক্ষেত্রে ISO বেশী হয়া বাঞ্চনীয়, ফলে ফ্ল্যাশ ছাড়াই ভাল ছবি তোলা যায়। আলোক সংবেদনশীলতার পরিমান বেশী হলে ছবি জ্বলে যেতে পারে। 

Sutter Speed:
ছবি তোলার সময় ক্যামেরার স্যাটার কতক্ষণ খোলা থাকবে তা Sutter Speed এর উপর নির্ভর করে। বেশীক্ষণ স্যাটার খোলা থাকা বেশী আলো প্রবেশে সাহায্য করে। ক্যামেরার ফিল্মে বা ইমেজ সেন্সরে আলো পৌছানোর পরিমান Sutter Speed এর সমানুপাতিক। 

ড্যানিয়েল পিটার, তার hamburger-fotospots.de ব্লগে আমার মত শৌখিন ফটোগ্রাফারদের জন্য 'থ্রি পিলার অব ফটোগ্রাফি' একটি ইনফোগ্রাফে দেখিয়েছেন, ইন্টারনেটে Exposure Triangle সম্পর্কে সবচেয়ে জনপ্রিয় তথ্যরেখচিত্রঃ


বড় করে দেখতে ইনফোগ্রাফে ক্লিক করা চাই :D
এছাড়াও ডিএসএলআর ব্যবহারকারীদের জন্য আরেকটি ইনফোগ্রাফ নেট ঘেটে পেয়ে গেলাম, এটাও চমৎকার তথ্যরেখছবিঃ

বড় করে দেখতে ইনফোগ্রাফে ক্লিক করা চাই
বলা বাহুল্য, মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় Exposure Triangle নির্দিষ্ট বা অটোমেটিক করা থাকে, সহজে পরিবর্তন করা যায় না, তবে উন্নত মানের ডিএসএলআর ক্যামেরাতে এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিজের প্রয়োজন মত স্থির করে নেয়া যায়। Have Fun in Photography :D ৩০-০৩-২০১৬
________

সহায়ক সুত্রঃ
১। http://blog.hamburger-fotospots.de/kostenloser-download-foto-cheatcard-fuer-fotografen/

২।http://petapixel.com/2015/04/22/this-picture-shows-how-aperture-shutter-speed-and-iso-affect-your-photos/

৩।http://www.boredpanda.com/photography-shutter-speed-aperture-iso-cheat-sheet-chart-fotoblog-hamburg-daniel-peters/

বুধবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

একজন মাহফুজ আনাম, ভূল স্বীকার আর সেতু


ডেইলী স্টার পত্রিকার সম্পাদক মাহফুজ আনাম বাংলাদেশের প্রভাবশালী সাংবাদিকদের একজন। এই কথাটা সম্প্রতি এক টেলিভিশন চ্যানেলে নিজের ভূল স্বীকার করার আগপর্যন্ত ঠিক ছিল।  ভূল স্বীকার করার পর বাধলো যত বিপত্তি। তিনি তার সাংবাদিক জীবনের যে ভূলটি স্বীকার করেছেন তা অনেক দিন রাজনৈতিক ডামাডলে মাটি চাপা পরে ছিল। তার স্বীকারোক্তির কারণে তা আবার মাটি ফুঁড়ে বের হয়ে এসেছে।


মাহফুজ আনাম শুদ্ধ সাংবাদিকতার চর্চা করেন না, তিনি একদম ১০০% খাটি সাংবাদিক নন। সব সময় খাটি খবর পরিবেশন করেন- তাও জোড় গলায় বলতে পারেননা।তার পত্রিকায় খুব ভাল নৈতিকতার চর্চা হয় না। এমন অনেক "না" দিয়ে মাহফুজ আনামের সাংবাদিকতাকে সংজ্ঞায়িত বা বিশেষণে পরিপূর্ণ করে দেয়া যাবে। 
২০০৭-২০০৮ এর রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তার পত্রিকা বাংলাদেশের রাজনীতিকে প্রবাভিত করার চেষ্ঠা করেছে। তিনি মাইনাস টু ফরমুলা, নতুন রাজনৈতিক দল তৈরী নিয়ে একের পর এক কলাম তার ইংরেজী দৈনিকে প্রকাশ করেছেন। সেই সময় তার দেখাদেখি অনেক পত্রিকাতেই এই রাজনৈতিক প্রপাগান্ডা নিয়ে লেখা ছাপানো হয়েছে। বেসামরিক তত্ত্বাবধায়ক  সরকারের আড়ালে আর্মি গোয়েন্দা সংস্থার দেশকে নিয়ন্ত্রনের কলকাঠি হিসেবে ডিজিএফআই  এর মদদে মাহফুজ আনাম হঠাৎ করে এত সাহসী হয়ে উঠেছিলেন। তবে তিনি একা ছিলেন না, প্রথম আলোর মত প্রপাগান্ডা চালানো পত্রিকাও ডেইলি স্টারের সাথে সেনাবাহিনীর গয়েন্দা সংস্থার মুখপাত্রের মত কাজ করেছে। 

মাহফুজ আনাম এতদিন পর ভূল স্বীকার করেছেন কেন তা নিয়ে আমার বোধগম্য নয়। তিনি একা ভূল করেননি , সেই সময় অনেক সাংবাদিক এই ভূল করেছেন। এতদিন পরে এইরকম ভূল মেনে নেয়ার জন্য রাজনৈাতিক দল, প্রধানমন্ত্রী সবার ক্ষোভের কারণ হয়েছেন তিনি। তার নামে  এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় ২০ এর অধিক মানহানীর মামলায় করা হয়েছে। যতদুর মনে পরে , এই সকল মামলায় মাহফুজ সাহেবের পরাজয় হলে ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা দিতে হবে । 

নিজেস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণে বাংলাদেশের ব্যয় প্রায় ২৮ হাজার কোটি টাকা। মাহফুজ আনামের বিরূদ্ধে করা মামলা থেকে বাংলাদেশ অন্তত দুইটা বুড়িগঙ্গা বা কর্ণফুলি সেতু করে ফেলতে পারবে। এ কথাটা টানলাম, এই সাংবাদিককে এই মুহূর্তে কি পরিমান হেনস্থা করা হবে তা বোঝাতে। 

এবার আসি, আসল কথায়। সেই সময় মাহফুজ আনাম একা দোষ করেননি। অনেক পত্রিকার সম্পাদক একই দোষে দুষ্ট।তাদের ভার মাহফুজ আনাম একা বইবেন কেন ? তাদেরকেও দোষ স্বীকার করার জন্য সুযোগ দেয়া উচিত(!)
রাজনৈতিক নেতা কর্মীরা, এমনকি আমাদের প্রধানমন্ত্রীও মাহফুজ আনামের দিকে আঙ্গুল তুলেছেন। কিন্তু যে ডিজিএফআই এর প্ররোচনায় মাহফুজ আনামরা সেই সময় প্রপাগান্ডা চালিয়েছেন  তাদের দিকে কেউ আঙ্গুল নির্দেশ করছেন না। ডি জি এফ আই এর তথ্য যাচাই করা মাহফুজ আনাম বা সাংবাদিকদের কাজ নয়। বরং সঠিক তথ্য বের করে আনাই ডি জি এফ আই দের কাজ হয়ার কথা। কিন্তু তা হয়নি। বলা বাহুল্য ডি জি এফ আই-কে এই  প্রসঙ্গে তাদের অবস্থান কেন এমন বিতর্কিত ছিল সেটা নিয়ে কেউ আঙ্গুল তুলছেন না, বরং নিরবতা পালন করবেন।তাদেরকে মাহফুজ আনাম এর আগে বিচারের সম্মুখে আনা নিয়ে অনেকেই বিমুখ, তাই মাহফুজ আনামকে একাই  ডিজিএফআই এর দোষেরও ভার বহন করতে হচ্ছে।দোষ যখন স্বীকার করেছেন, দায়ও আপনিও নিবেন, জনাব।  দেখা যাক, মানহানি বা ক্ষতি পুরণের টাকার অংক পদ্মা সেতুর অর্থায়নের ফিগারকেও ছাড়িয়ে যায় কিনা......!



সহায়ক সুত্র; :
http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article1108859.bdnews
http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article1099667.bdnews

বৃহস্পতিবার, ২৬ মার্চ, ২০১৫

China unveils first 3D-printed car in Hainan

প্রথম বারের মতো চীনে তৈরী করলো ৩ডি[3D] প্রিন্টেড গাড়ি

২৪/০৩/২০১৫ তারিখে দক্ষিণ চীনের হাইনান প্রদেশে প্রথম বারের মতো থ্রি ডি প্রিন্টেড গাড়ি পরীক্ষামুলক ভাবে রাস্তায় নামানো হয়। চীনের 3D টেকনোলজি কোম্পানী সানিয়া সিহাই বিদ্যুৎ চালিত এই গাড়ির নির্মাতা। 




এই সেডান গাড়ির প্রধান ডিজাইনার চ্যান মিং কিউয়াও  এর মতে ৩.৬ মিটার লম্বা ও ১.৬৩ মিটার প্রস্থের দুই সিটের গাড়ির বডি প্রচলিত মেটাল এলয় বডির চেয়ে ১/৮ ভাগ হালকা। তার মতে, গাড়িটি ওজনে হালকা , যা এই গাড়িকে আরো বেশী শক্তিশালী ও  টেকসই করেছে। 

গাড়ি তৈরীতে ৪৫ দিন সময় লেগেছে, কিন্তু বডি ডিজাইন, 3D প্রিন্টিং, পরবর্তীতে এসেম্বল করে পরীক্ষামূলক ড্রাইভের জন্য  সময় লেগেছে মাত্র ৫ দিন। 

ঊল্লেখ্য , বিশ্বের প্রথম 3D প্রিন্টেড গাড়ীর নাম আরবী[Urbee], ২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে তৈরী হয় এবং পরবর্তী উৎপাদনে যায়। যার মুল্য পড়ে ১৬-৫০ হাজার ডলার।   চীনের এই গাড়িটি সে তুলোনায় অনেক সস্তায় কম খরচে কম্পোজিট ম্যাটেরিয়ালে তৈরী। এটি তৈরীতে মাত্র ১৭৭০ ডলার  খরচ হয়েছে বলে নির্মাতারা জানান।গাড়ি নিয়ে ভিডিওঃ 



রিচার্জেবল ব্যাটারী চালিত এই গাড়িটি ঘন্টার ২৪ মাইল/৪০ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারে। 

___________

খবরঃ RT.com | CCTV