বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন, ২০১০

উড়ালযানের তরল রসদ






ঢাকার ভেতরে অথবা বাইরে হাইওয়ের পাশে ইদানিং নতুন নতুন অনেক গ্যাস রিফুয়েলিং স্টেশন হচ্ছে.জ্বালানি হিসেবে রুপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস এর জনপ্রিয়তা বেড়েছে, পাল্লা দিয়ে,  ব্যাঙয়ের ছাতার মতো গ্যাস স্টেসন এর সংখ্যাও বেড়েছে, (পরিসংখানে যাচ্ছিনা); একই সাথে ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতাও বেড়েছ|
এই স্টেসন গুলোর মালিকরা এই অঘোষিত প্রতিযোগিতায় কেও কারো থেকে পিছিয়ে নেই| গাড়ীর চালকদের আকৃস্ট করার জন্য নিচ্ছেন নানা রকমের কৌশল- কেউ পাম্পের অফিসঘরের উপর ঝুলিয়ে দিচ্ছেন বড় রঙ্গিন ঝান্ডা, যাতে হাইওয়েতে অনেক দূর থেকে চালকদের দৃষ্ঠি আকর্ষণ করা যায়| কেউবা রাস্তায় সাইনবোর্ড অথবা দুরত্বপিলার বসাচ্ছেন- “...ফিলিং স্টেসন, ১ কিলোমিটার সামনে”, অনেক ফিলিং স্টেসনের সামনে পতাকা হাতে তাদের লোক দাড়িয়ে থাকতে দেখা যায়, যার কাজ হচ্ছে ট্রাফিক পুলিশের মত গাড়ীকে নিজের স্টেসনে নিয়ে আসা। পাশাপাশি পাম্পগুলোর প্রতিযোগিতা আরো সূক্ষ,গ্রাহকদের ধরে রাখতে তারা তাদের পাম্পের গুণগান লিখে সাইন বোর্ড টাঙ্গান,পাম্পের মেশিনে অথবা টাকার রশিদের নিচে লিখে দেন, সঠিক পরিমাপে তেল অথবা গ্যাস দেওয়া হয়, প্রভৃতি|
দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য কত কিছুই না করা হয়.তবে বিচিত্র উপায়ে দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য কারো কারো আইডিয়া চমকপ্রদ, যেমন, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের হেমায়েতপুর মোড়ের উড়োজাহাজ-ওয়ালা স্টেসনটি(নিচের ছবিতে দেখুন)




বলে রাখা ভালো, এটা কোনো আসল বিমান বা উড়োজাহাজ নয়, কিংবা আসল যন্ত্রের খোলসও নয়, সম্পূর্ণ ইট, পাথর, লোহা এর সিমেন্টের ঢালাই করা দেশী রাজমিস্ত্রীদের করা 'শিল্প'কর্ম|ঢাকা থেকে সাভার যাওয়ার পথে, হেমায়েতপুর এলেই, এই বিশাল ঢালাই-যজ্ঞ প্রায় প্রতিদিনই নতুন করে আমার চোখ রাস্তার বাম পাশে টেনে নিত, বলা বাহুল্য এখনো আমি ওই পথে যাওয়ার সময় , ওই স্থানে রাস্তার বাম পাশে তাকাই. এই স্টেসনটা এর আসে পাশের পাম্পগুলো থেকে বয়সে 'নবীন'|সেই পাম্প্ গুলোর বাজার আর সুনাম-দুটোকে একসাথে হাত করতেই কি পাম্প মালিকের এই বিশাল আয়োজন কিনা- কখনো খোজ নিয়ে দেখা হয়নি, কিন্তু উদ্যোগতা সবার দৃষ্ঠি আকর্ষণে সফল হয়েছেন, কারণ অনুসন্ধিত্সু চোখ ব্যতিক্রম খুজবেই|
...................................
এই লেখাটি Sight by Walk ও গুগলআর্থ কমুনিটি ফোরামে প্রকাশিত
Fuel From Plane!পোস্টের বাংলা প্রতিরূপ  

কোন মন্তব্য নেই: