শনিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৩

The Result Day ধন্যবাদ জাহাঙ্গীরনগর!

আজ মাস্টার্স পরীক্ষার রেজাল্ট পাবলিস হল। আমার ব্যাচের প্রায় সবাই আশানুরূপ ফল পেয়েছেন বলে প্রায় সবার মন খুশি খুশি। খেয়াল করলাম, সবাই ভাল করেছে, সবার মধ্যে ভাল ফল পাওয়ায় চাপা উত্তেজনা আছে।

আমিও খুশি , কারন কাজ ছাড়া লম্বা সময় বসে থাকা এক ধরনের মানসিক যন্ত্রনা। । ভাল লাগছে, পড়ালেখার জন্য অতিরিক্ত সময় ব্যয় হবে না। পাচঁ বছর সময়কে টেনে টুনে সাত বছর করা মোটেও ভাল কাজ না। ফল প্রকাশের আগেই চাকুরী শুরু করি, তাই নিজেকে নির্ভার মনে হচ্ছিল।

পুরোপুরি আনন্দিত হতে পারছি না। অনেক দিনের অভ্যাস- হলের আড্ডা, গান, টিভি রুমের হৈচৈ, বট তলার চা, দুপুরের খাওয়া, খাওয়ার পর আরেক দফা আড্ডা, প্রিয় বন্ধু-বান্ধবী, ট্রান্সপোর্ট, পুরোনো অথচ আপন হয়ে যাওয়া সবুজ রঙের বাস, বাসের পেছনে র গেটে দাড়িয়ে গলা ছেড়ে চিৎকার, রিকশায় ঘোরা, পরীক্ষার আগের রাতের তাহাহুড়া করে দল বেধেঁ পড়া এসাইনমেন্ট রেডী করা, ক্লাস বাদে দুপুরের নির্জন পরিবেশে আরামনিদ্রা, শীতকালের পিঠা, মুক্ত মঞ্চের কনসার্ট, বসন্তের শুরুতে নাটক উৎসব, অডিটোরিয়ামে সিনেমা দেখা, ডেইরীগেট থেকে শহীদ মিনার পর্যন্ত বসন্তের রোমান্টিক বাতাসে হেটে যাওয়া, সেন্ট্রাল ফিল্ডে পিচের উপর চাঁদনী রাতে হাত পা ছড়িয়ে  আকাশ দেখা- সর্বপোরি 'জাহাঙ্গীরনগর' কে খুব দ্রুত ছেড়ে চলে যেতে হবে।

ভাগ্যিস আমি বা আমরা অনেকেই জাহাঙ্গীরনগরের মতো মায়াময়ী স্থানে চিরকাল থাকতে বা পড়তে যাইনি, নয়তো এই ভাল দিকগুলি কখনো আবেগ দিয়ে উপলব্দি করতে পারতাম না। আমার জীবনের "মার্চ,২০০১ থেকে মে, ২০০৮" অধ্যায়ে পড়ালেখার বাইরে বাকী সময়টা আমি সর্বোচ্চ স্বাধীনতা ভোগ করেছি।

ধন্যবাদ জাহাঙ্গীরনগর!

২৭-০৪-২০০৮

কোন মন্তব্য নেই: