বাংলাদেশী হ্যাকাররা সীমান্তে বিএসএফ এর অমানবিক, বর্বরোচিত হামলা বন্ধের জন্য একের পর এক ইন্ডিয়ান সাইট হ্যাক করে যাচ্ছেন, এছাড়াও টিপাইমুখ ইস্যুতে জনসচেতনতা এই হ্যাকিং এর উদ্দ্যেশ্য বলে হ্যাকাররা তাদের হ্যাক করা সাইট গুলিতে জানান দিচ্ছেন। পত্রিকার বিভিন্ন সুত্র আর বিডি রেড হ্যাট হ্যাকারদের ফেসবুক ফ্যান পেজ থেকে জানা যায়, হ্যাক হওয়া সাইটের সংখ্যা ২০০০০ চেয়ে বেশী[৪]। যদিও বেশীর ভাগই ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক কম্পানীর ওয়েব পেজ,পর্ণ সাইট; এদের মধ্যে বি এস এফ এর(bsf.nic.in) এর সাইটও রয়েছে ।[১]
এই সাইবার যুদ্ধ, রীতিমত সবার মাঝে আলোড়ন তুলেছে। আমাদের বেকুব সরকার যথারীতি এই ঘটনাতেও স্বাধীনতাবিরোধী ও ইসলামি সন্ত্রাসীদের গন্ধ পেয়েছেন। [২] একদল সুবিধাবাদী এই হ্যাকিংকে আন্তর্জাতিক রুপ দেওয়ার জন্য পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, রাশিয়া আর ইসরায়েলকেও জড়িয়ে গুজব রটিয়েছে। প্রসঙ্গত বলতে হয় পাকিস্তানি হ্যাকাররা অনেক আগে থেকে ইন্ডিয়ান সাইট হ্যাকিং এর সাথে যুক্ত, এর সাথে সমসাময়িক বাংলাদেশী হ্যাকিং এর কোন সম্পর্ক নেই।[৩]
ব্যাপারটা একটা ফ্যানাটিক পর্যায়ে চলে এসেছে, কেউ বাহবা দিচ্ছেন, অন্ধ বেকুবরা অযথা গন্ধ পাচ্ছেন। অনেকেই মুল ব্যাপারটাকে পাশ কাটিয়ে যাচ্ছেন। হ্যাকারদের জন্য সাইট হ্যাকিং করার কাজটা গেম খেলার মতই আনন্দের, অনেক হ্যাকাররা হ্যাকিংকে আসক্তির পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। নতজানু পররাষ্ট্র নীতির কারনে দেশের মানুষ রাষ্ট্র ব্যবস্থার উপর আশাহত, তখন এই শৌখিন হ্যাকিং আমার কাছ থেকে বাহবা পায় কারন এই হ্যাকিং এখন আমাদের বাংলাদেশের মানুষের জন্য প্রতিবাদের মাধ্যম। তবে পরিকল্পনা বিহীন এই হ্যাকিং নিয়ে মিডিয়া আর মানুষের আগ্রহ বেশীদিন থাকবেনা। খোদ ইন্ডিয়ান সরকার এই ব্যাপার নিয়ে খুব বেশী চিন্তিত বলে মনে হয় না।
এমেরিকা, চীন, ইসরায়েল এর গোয়েন্দা সংস্থা গুলি,তাদের জাতীয় স্বার্থে এই ধরনের হ্যাকারদের পৃষ্টপোষকতা করা থাকে। বাংলাদেশের মত দেশের এই ধরনের পৃষ্টপোষকতা আশা করা, বালিতে 'ইয়ে' করার মত, কিন্তু তারপরও নিজেদের সাইবার স্পেস কিভাবে সুরক্ষিত রাখা যায়, এই ব্যাপারে তাদের সহযোগিতা কাম্য। হ্যাকারদেরকে ধন্যবাদ। অল্প সময়ের জন্য হলেও তারা বাংলাদেশকে সাইবার বিশ্বে আত্ম সম্মান এনে দিয়েছেন। বাহবা দেই হ্যাকারদের, আর যারা এই ঘটনাকে পুজি করে, ফায়দা লোটার ধান্দা করছেন, তাদের জন্য অনিষ্ট কামনা করি।
--১. প্রথম আলো ১৪-০২-২০১২
২. BLITZ
৩. http://www.nagorikblog.com/node/7597
৪. times of india
1 টি মন্তব্য:
সাবধান থাকুন !!!
বাংলাদেশী সাইটগুলোতে ব্যাপক আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারতীয় হ্যাকাররা। বিভিন্ন ব্যাংক এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ওয়েবসাইট আক্রমণই এখন তাদের মূল লক্ষ্য বলে জানিয়েছে উইকলি ব্লিজ। প্রকাশিত এক সংবাদে ম্যাগাজিনটি জানায়, বাংলাদেশী ব্ল্যাকহ্যাট হ্যাকার গ্রুপ এবং তাদের সহযোগীরা মিলে ২৬ হাজার ভারতীয় ওয়েবসাইট হ্যাক করেছে। আর ভারতীয় হ্যাকাররা বাংলাদেশী সাইটগুলোতে আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে বড় ধরণের আক্রমণ চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। এদিকে বাংলাদেশ থেকে যেসব হ্যাকাররা ভারতীয় ওয়েবসাইটগুলোতে আক্রমণ চালাচ্ছেন তাদের গ্রেফতারে মাঠে নেমেছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ভারত থেকে বিশেষ বাহিনীর একাধিক গোয়েন্দা সদস্য বৃহস্পতিবার ঢাকায় এসেছে বলে জানিয়েছে ব্লিজ।
Cyber War
বাংলাদেশী সাইবার যোদ্ধারা এখনও একের পর এক ওয়েবসাইটে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে হ্যাকারদের অব্যাহত হুমকির মুখে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। একাধিক সূত্র জানিয়েছে, সাইবার যুদ্ধের বিষয়টি নিয়ে দুদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপড়েন সৃষ্টি হতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে, আর এ কারণে হ্যাকারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে সরকার। ইতিমধ্যে একটি বিশেষ বাহিনীকে এ ব্যাপারে কাজ শুরুরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সংবাদে ব্লিজ জানিয়েছে, ভারত থেকে সাইবার বিশেষজ্ঞ একটি দল ইতিমধ্যে বাংলাদেশে এসেছে। ভারতের সাইবার অপরাধ প্রতিরোধ দল এবং কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা ব্যুরো (সিবিআই) এর একাধিক প্রতিনিধি রয়েছে এ দলে। ব্যবসায়ী এবং ভ্রমণকারীর ছদ্মবেশে তাঁরা এসেছে, তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সহ দিল্লির বাংলাদেশী হাইকমিশন বিষয়টি নিয়ে ওয়াকিবহাল রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে একাধিক সূত্র। ছদ্মবেশে বাংলাদেশে আসলেও ভারতীয় গোয়েন্দা দল বাংলাদেশী হ্যাকারদের চিহ্নিত করতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ কোম্পানি লিমিটেড-এর সহযোগিতা নিবে। সংস্থাগুলোকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিশেষ নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন